জিলক্বদ
মাসের আমল ও ফযীলত
আরবী
বর্ষপঞ্জীর মধ্যে জিলক্বদ মাস হচ্ছে একাদশতম। আরেক কথায় একে পবিত্র জিলহজ্ব মাসের
পূর্ব আগামী মাসও বলা হয়। মুসলিম বিশ্বের যাঁরা হজ্জ্ব ব্রত পালনের জন্য
মক্কানগরীতে যাবেন তাদেঁর জন্য প্রস্তুতি ও হুসিয়ারীর মাসও বটে। এ বিবেচনায় এ মাসের
ফযীলত ও বুজুর্গী অত্যন্ত অধিক। সম্মানিত মাস চতুষ্টয়ের মধ্যে এ মাসটিও একটি। তাই
বিভিন্ন গ্রন্থ থেকে এখানে কয়েকটি ইবাদতের বর্ণনা দেয়া গেল। আশা করি মো'মীন
মুসলমান ভাই ও বোনেরা অন্যান্য মাসের মত এ মাসেও ইবাদত-বন্দেগী করে অশেষ নেকী
হাসিল করবেন।
১।
এ মাসের চাঁদ দেখার রাত্রে প্রথম ভাগে যে ব্যক্তি দু' দু' রাকাত করে ৮ রাকাত
নামাযের প্রত্যেক রাকাতে সূরা ফাতিহা একবার সূরা এখলাছ তিনবার করে পাঠ করে
নামাযান্তে পুনঃ ১০০ (একশত) বার সূরা এখলাছ পাঠ করে তওবা এস্তেগফার পাঠ করে পরম
করুণাময় আল্লাহ্ তাআলার দরবারে মুনাজাত করলে আল্লাহ্ তাআলা তাঁর যাবতীয় নেক
বাসনা পূর্ণ করবেন।
২।
হাদীস শরীফে বর্ণিত আছে, যেহেতু এ মাসে যুদ্ধ বিগ্রহ, ঝগড়া-ঝাটি, মারামারি,
কাটাকাটি হারাম, সেহেতু ঐসব থেকে পরহেজ করে কায়মনোবাক্যে আল্লাহ্ তাআলার
রেজামন্দির জন্য যে ব্যক্তি একদিন নফল রোযা ও নামাযে কাটাবে, সে এক হাজার বত্সরের
ইবাদতের চেয়েও অধিক পূণ্যের অধিকারী হবে।
৩।
হাদীস শরীফে আরও বর্ণিত আছে, নবী পাক (সাঃ) এরশাদ করেছেনঃ এ মাসে যে ব্যক্তি একদিন
রোযা রাখবে মহান আল্লাহ্ তাআলা তার আমলনামায় একটি মকবুল হজ্বের সওয়াব লিখে দেবেন।
অধিকন্তু তার প্রতি নিঃশ্বাসের পরিবর্তে একটি গোলাম আযাদের পূণ্য দেয়া হবে।
৪।
হাদীস শরীফে আরও বর্ণিত আছেঃ এ মাসে সোমবার দিন রোযা রাখলে এক হাজার বত্সরের অধিক
নফল ইবাদতের সওয়াব হাসিল হবে।
৫।
হাদীস শরীফর আরেক বর্ণনায় আছেঃ যে ব্যক্তি এ মাসের যে কোন বৃহস্পতিবার দিনে দু'
দু' রাকাত করে ১০০ (একশত) রাকাত নামাযের প্রত্যেক রাকাতে সূরা ফাতিহা একবার ও সূরা
এখলাছ দশবার পাঠ করে নামায আদায় করবে, পরম করুণাময় আল্লাহ্ তাআলা তার আমলনামায়
অসংখ্য নেকী লিখিয়ে দেবেন ও তার যাবতীয় নেক বাসনা পূরণ করে দেবেন।
তাই
প্রতিটি সচেতন বিশ্বাসী বান্দার উচিত যে, এ অমূল্য সময় অযথা নস্ট না করে আল্লাহ্
তাআলা এবং তাঁর রাসূল (সাঃ) এর রেজামন্দী হাসিলের জন্য মন-প্রাণ উত্সর্গ করা;
ইবাদতের মাধ্যমে এ মাসের যথাযোগ্য সম্মান ও কদর করা।
********************